হবিগঞ্জে পাসপোর্ট দালালচক্রের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক চিহ্নিত দালালকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। রবিবার ২৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা সদরের শায়েস্তানগরের পাসপোর্ট অফিসের সামনে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা পাসপোর্ট অফিস চত্বরে অভিযান চালিয়ে দালালচক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য সাচ্চু মিয়া (৩৫) কে আটক করেন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সাচ্চু মিয়া পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে প্রতারণা করে আসছিলেন। পাসপোর্ট তৈরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেন এবং বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে সহায়তা করার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি এবং চিহ্নিত দালালকে হাতেনাতে আটক করি। পরে তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সাহাব উদ্দিন আলম শাহীন বলেন, সেনাবাহিনী কর্তৃক আটককৃত ব্যক্তিকে আমরা থানায় গ্রহণ করেছি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, পাসপোর্ট অফিস এলাকায় সক্রিয় দালালচক্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা এসব দালালদের স্থায়ীভাবে দমন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাসপোর্ট অফিসে আগত সেবাপ্রত্যাশীদের সচেতন করা হয়। এ সময় তাদের দালালচক্রের প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করে সরকারি নিয়মে সরাসরি সেবা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
পাসপোর্ট অফিস হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক সচিব কুমার আইন বলেন, আমি যোগদানের পর থেকেই দালালদের দমন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সাধারণ মানুষ অনেক সময় নিজেই দালালের শরণাপন্ন হন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন অভিযান আমাদের কাজকে সহজ করবে। আমরা পাসপোর্ট সেবা শতভাগ স্বচ্ছ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।