গ্লোবাল সিলেট
প্রকাশ : Mar 14, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির

আদালতে আত্মসমর্পণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) সভাপতি নাজমুল ইসলাম। বুধবার রাত ১টার দিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তাঁর পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এই ইঙ্গিত দেন তিনি। তার এই পোস্টের পর অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন।

পোস্টে নাজমুল ইসলাম লিখেছেন, ‌একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য কারাগার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। আমাদের যাদের ভবিষ্যতে দেশে রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে আমাদের প্রত্যেককেই আত্মসমর্পণ করার প্রস্ততি নিতে হবে। আদালতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে আমি, আমরা নির্দোষ নাকি অপরাধী? খুব শিগগিরই আমি এই কাজটি করব। কাপুরুষের মতো পালিয়ে থেকে বাঁচার চেয়ে কারাগারে বীরের মতো মৃত্যুবরণ করাটাই আমার কাছে সম্মানের।

এদিকে তার এই পোস্টের পরপরই শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ কেউ তার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ বলছেন- এখন আত্মসমর্পণ করার সময় হয়নি। আত্মসমর্পণ করলে বিপদ অনিবার্য।  

হুমায়ুন এ জনি নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আর ভাল্লাগে না ভাই। রাজনীতির পাঠশালা কারাগারে থেকে নতুন করে শুরু করি।’

এম সরওয়ার জাহান মামুন লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে।

স্বপন আহমদ নামে একজন লেখেন, হ্যাঁ! এটাই একজন রাজনীতিবিদের সঠিক সিদ্ধান্ত।

এস এ সাদিক নামেব একজন লেখেন, ‘ভাই জীবনেও ধরা দিও না। ভালা বুদ্ধি দেয়ার অন্য দেশে স্থায়ী বসবাসের চিন্তা কর। আপাতত জীবিত থাকলে পরে রাজনীতি।

দিলসাদ আহমদ নামে একজন লেখেন, প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার চিন্তা চেতনা এই রকমই থাকা প্রয়োজন।

ফুয়াদ আল আমিন নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘এই সাহস যদি করেন ভাই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের আলাদা একটি শক্তি সঞ্চালন করবে। আপনার সভাপতি হওয়াটা যেমন অবাক ইতিহাস, এমন আরেক ইতিহাস হয়ে থাকবেন।’

কামরান আহমদ নামে একজন মন্তব্য করেন, সাধারণ কর্মীরা কি চায় আপনাদের কাছে এটা আপনাদের জানতে হবে। কর্মীরা আপনাদের কাছে টাকা পয়সা কিছুই চায় না, ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও চায়নি। এখনও সময় আছে আপনার কর্মীদের খোঁজখবর নেন। এদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এরা রাজপথে থাকলেই আপনারা ফিরতে পারবেন। আওয়ামী লীগ খুব শিগগির রাজপথে ব্যাক করবে। আপনার আপনাদের মুখ তখন কীভাবে দেখাবেন একটু চিন্তা করুন.?’

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর নাজমুল ইসলামসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অনেক নেতা ভারতে চলে যান। বর্তমানে নাজমুল সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তমত প্রকাশ–সংক্রান্ত ও গায়েবি মামলা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্

1

চট্টগ্রামে পুলিশকে গুলি করে পালানো শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্

2

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে আবার উত্তেজনা, হামলায় ৩ বাংলাদেশি

3

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নে ১৭ সদস্যের কমিট

4

দিরাইয়ে ধান শোকানোকে কেন্দ্রকরে প্রতিপক্ষের আঘাতে যুবক খুন

5

নতুন বছরের শুরুতেই যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ

6

৫৩ বছর দেশ শাসনকারীরা নতুন আশা দেখাতে পারবে না: চরমোনাই পীর

7

বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের

8

বছর ঘুরে আজ খুশির ঈদ

9

নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই : কাইয়ুম চৌধুরী

10

জুলাই বিপ্লবে শহীদের স্মরণে লন্ডনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

11

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

12

অতীতের রাষ্ট্রপরিচালকেরা দুর্নীতি করে আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন

13

দক্ষতা উন্নয়নে নজর কম, ফ্রিল্যান্সার তৈরির হিড়িক

14

চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, দুই দেশের সম্পর্ক পৌঁছাবে

15

দেওয়ান-কোরেশী গোষ্ঠী যুব সংঘ,শ্রীধরপাশার ইফতার মাহফিল সপন্ন

16

আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব

17

বিশ্বকাপ নিয়ে রিভালদোর সঙ্গে তর্কে জড়ালেন নেইমার

18

অবশেষে ভুটানের লিগে খেলতে বাফুফে থেকে ছাড়পত্র পেলেন মাসুরা-র

19

মাজার ভাঙচুর বরদাশত করা হবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

20