সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বাড়ছে। আরও বাড়বে। এমনকি বিপথসীমাও অতিক্রম করতে পারে। সিলেটের উজানে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুরমার পানি রবিবার সন্ধ্যায় কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১০ দশমিক ৯১ মিটার। সোমবার সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল ১০ দশমিক ৯৭ মিটার। সকাল ৯টায়ও এ পয়েন্টে পানি স্থির ছিল। ১২টা, ৩টা বা ৬টার কোনো তথ্য দিতে পারেনি সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সুরমার সিলেট পয়েন্টে রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ছিল ৮ দশমিক ৬১ মিটার। সোমবার সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭০ মিটার। সকাল ৯টায় ছিল ৮ দশমিক ৭৩ মিটার, দুপুর ১২টায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৭ মিটার, আর বিকাল তিনটায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৮৫ মিটার। তবে সন্ধ্যা ৬টার তথ্যটি দিতে পারেনি সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুশিয়ারার পানিও বাড়ছে। রবিবার সন্ধ্যায় কুশিয়ারার পানি জকিগঞ্জের আমলশিদ পয়েন্টে পানি ছিল ১২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।
সোমবার সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ২০ মিটার, সকাল ৯টায় পানি ছিল ১৩ দশমিক ২৫ মিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১৩ দশমিক ২৯ মিটার, বিকেল তিনটায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। সন্ধ্যা ৬টার পানির হিসাব দেওয়া হয়নি।
শেওলা পয়েন্টে রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ছিল ১০ দশমিক ৬২ মিটার। সোমবার সকাল ৬টায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৭২ মিটার, সকাল ৯টায় পানি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ মিটার, দুপুর ১২টায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৭৮ মিটার, বিকেল ৩টায় পানি ছিল ১০ দশমিক ৮৫ মিটার। এ পয়েন্টেরও সন্ধ্যা ৬টার হিসাব দিতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ছিল ৮ দশমিক ৫৫ মিটার। সোমবার সকাল ৬টায় পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে পানি দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৫৪ মিটার। সকাল ৯টায় পানি স্থির ছিল, ১২টায় সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৫৫ মিটার, বিকেল তিনটায়ও এ পয়েন্টে পানি স্থির ছিল। তবে সন্ধ্যা ৬টার হিসাব দেওয়া হয়নি।
তবে কুশিয়ারার শেরপুর পয়েন্টে পানি কিছুটা কমের দিকে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল ৭ দশমিক ১২ মিটার। সোমবার সন্ধ্যায় পানি কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ১০ মিটার। বিকেল তিনটায় পানি আরেকটু কমে।
এছাড়া সিলেটের লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধোলাইয়ের মতো পাহাড়ী নদীগুলোর পানিও এই বাড়তে তো এই কমছে।
এদিকে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, সুরমা কুশিয়ারার উজানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তুমুল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই নদ-নদীর পানি আরও বাড়বে।
বন্যার পূর্বাভাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পানি বাড়তে বাড়তে সিলেটের নদ-নদীগুলো বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে তাদের জানানো হয়েছে। তবে বন্যার আশঙ্কা আছে কি না, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেন নি।
আর সন্ধ্যা ৬টায় পানির হিসাব তাদের গ্রুপে না দেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলেও তাৎক্ষনিক তিনি কারণ বলতে পারেন নি। বলেছেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
মন্তব্য করুন