সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন ধোপাগুল এলাকা থেকে ১ হাজার ৪শ’ ৬০ বোতল বিদেশী মদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত আনুমানিক সোয়া ২টার দিকে অভিযান পরিচালন করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, সোমবার (২১ জুলাই) রাত আনুমানিক সোয়া ২টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) এর একটি আভিযানিক দল সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন ধুপাগুল পয়েন্ট এর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে কোম্পনীগঞ্জ টু সিলেট মহাসড়কে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনাকালে সিলেট গামী একটি সাদা রঙয়ের প্রাইভেটকার এবং একটি সাদা রঙয়ের পাজারো জীপকে থামানোর সঙ্কেত দিলে উক্ত স্থানে গাড়ি দুইটি থামিয়ে গাড়িতে থাকা ৫ জন ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদেরকে পালানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় র্যাবের আভিযানিক দলের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশী করে তাদের দেখানো মতে পাজারো গাড়ি থেকে ছোট ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর বিশেষভাবে রক্ষিত অবস্থায় ১ হাজার ৪শ’ ৬০ বোতল বিদেশী মদসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তাদের নিকট থেকে একটি সাদা রঙয়ের প্রাইভেটকার ও একটি সাদা রঙয়ের পাজারো জীপ জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার গোপীনাথখিলা এলাকার মৃত আব্দুল গনি শেখের ছেলে মোঃ আমজাদ হোসেন (৩৬), গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর থানার তিনদহ পূর্ব পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে মোঃ মুন্না (২৩), বরগুনা জেলার আমতলী থানার শাখারীয়া এলাকার আঃ রাজ্জাকের ছেলে মোঃ সজিব (২৩), ঢাকার জেলার সাভার থানার হরিণধরা এলাকার মোঃ পান্নু মিয়ার ছেলে রিপন (৩৩) এবং বরগুনা জেলার আমতলী থানার আঙ্গুল কাটা এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ রুবেল (২৩)।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘সোমবার রাত আনুমানিক সোয়া ২টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) এর একটি আভিযানিক দল সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৪শ’ ৬০ বোতল বিদেশী মদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ খ্রিঃ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের ও জব্দকৃত আলামত এসএমপি, সিলেট এর এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।